জাপান হতে বাংলাদেশে শিপি

জাপান হতে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক চলাচল

আমরা আপনাকে আপনার ব্যাক্তিগত দ্রব্যাদি আন্তর্জাতিকভাবে স্থানান্তর করতে সাহায্য করে থাকি। জাপান লাগেজ এক্সপ্রেস একটি আন্তর্জাতিক শিপিং ও স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৯৫ সালে জাপানে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই তখন থেকেই আমরা জাপান প্রবাসীদেরকে দেশে ফেরার সময় তাদের ব্যাক্তিগত দ্রব্যসামগ্রী দেশে নিয়ে যেতে সাহায্য করে আসছি।

** আপনি কি জাপান থেকে বাংলাদেশে ফিরছেন ?

** আপনি কি কোন সাশ্রয়ী মূল্যের আন্তর্জাতিক শিপিং সেবা খুঁজছেন?

তাহলে আজই আপনার মালামাল নিয়ে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন, আমরাই পারি আপনাকে আপনার সাধ্যের মধ্যে সর্বোত্তম সেবা দিতে। বাণিজ্যিক কার্গো সেবা থেকে শুরু করে আপনার দৈনন্দিন ব্যাবহার্য মালামাল, আমরা সব ধরনের শিপিং সেবা প্রদান করে থাকি। বিমান পরিবহন সেবার মূল্য

গন্তব্যভাড়ার হার
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা।৯৫০ জাপানিজ ইয়েন

উল্লেখ্য যে, এয়ার শিপমেন্ট বা বিমান পরিবহনের ক্ষেএে পণ্যের নূন্যতম ওজন ৪৫ কেজি। এক্ষেএে ব্যাগেজ এর সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যে সকল পণ্যের ওজন কম বা নির্দিষ্ট ওজন ঘনত্ব নেই সেসব পণ্যের জন্যে আয়তনগত ওজন পরিমাপ বা ডাইমেনশনাল ওয়েট পদ্বতি ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ প্রান্তে ডেসটিনেশন চার্জ আমাদের ভাড়ার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত নয়। ডেসটিনেশন চার্জ বলতে বাংলাদেশ প্রান্তে বিমানের অফিস হ্যান্ডলিং চার্জ, কাস্টম ক্লিয়ারেন্স চার্জ, টার্মিনাল চার্জ, স্টোরেজ ফি, ডেলিভারী চার্জ, বিমানবন্দর হতে আপনার গন্তব্যস্থলে পৌছানোর খরচ সহ অন্যান্য খরচ সমূহকে বুঝায়।

জাপান প্রান্তে অন্যান্য চার্জ সমূহ (আমাদের ব্যাবস্থাপনায়)

৫,৯০০ জাপানিজ ইয়েনপ্রতি শিপমেন্টে*

*একটি শিপমেন্ট বলতে আপনার একবারের সকল প্যাকেজকে বুঝায়।

পিক-আপ চার্জঃ

ফ্রি পিক-আপ সেবা টোকিও ডাওনটাউন ও চিবার নির্দিষ্ট অংশে প্রযোজ্য। এছাড়াও আমরা জাপানের যেকোন স্থান থেকে সুলভমূল্যে পিক-আপ এর ব্যবস্থা করে থাকি। উপরে উল্লেখিত এলাকা সমূহের বাইরে অন্যান্য এলাকা হতে পিকা-আপের জন্যে আপনার এলাকার উপর ভিত্তি করে ২০-২০০ জাপানিজ ইয়েন পর্যন্ত চার্জ প্রযোজ্য।

বীমা ( ঐচ্ছিকঃ

পণ্যের বীমা সুবিধা পেতে হলে অবশ্যই আপনার পণ্যের প্রকৃত মূল্য ঘোষণা করতে হবে। বিমার প্রিমিয়াম আপনার প্যাকিং লিস্টে ঘোষিত মূল্যের ১.৫ পার্সেন্ট হারে প্রযোজ্য হবে। নূন্যতম প্রিমিয়াম হল ৩,৩০০ ইয়েন। উদাহারণস্বরূপ , আপনার পণ্যের ঘোষিত মূল্য যদি ৩০০,০০০ (তিন লক্ষ) ইয়েন হয় তবে আপনার ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম হবে ৪,৫০০ ইয়েন।

ভাড়ার হিসাবঃ

৫৫ কেজির সমপরিমান কোন শিপমেন্ট ঢাকা বিমানবন্দর পৌছাতে খরচ হবে, ৫৮,১৫০ ইয়েন (৯৫০*৫৫+৫৯০০)।

*ইন্সুরেন্স খরচ এই হিসাবের অন্তর্ভূক্ত নয়।

উপরে উল্লেখিত খরচ এবং ভাড়ার হার কেবল জাপান হতে বাংলাদেশে ব্যাক্তিগত ও অবাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনের ক্ষেএে প্রযোজ্য।

** জাহাজীকৃত পণ্যের ধরণের উপর ভিত্তি করে জেনারেল কার্গো বা বাণিজ্যিক পণ্যের শিপমেন্টের ভাড়া ও চার্জ ভিন্ন হতে পারে।

** ওয়েবসাইটে প্রদত্ত খরচ ও চার্জের হার যেকোন সময় নোটিশ প্রদান সাপেক্ষে বা বিনা নোটিশে পরিবর্তিত হতে পারে।

** এয়ার শিপমেন্টের ক্ষেএে জ্বালানী বা সিকিউরিটি সারচার্জ প্রযোজ্য হতে পারে।

আমাদের ভাড়া এবং চার্জ সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য জানতে, দয়া করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন কিংবা আমাদেরকে ইনকোয়ারি পাঠান।

আয়তনগত ওজন বা ডাইমেনশনাল ওয়েট সম্পর্কেঃ

IATA (ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন) এর স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে ডাইমেনশনাল ওয়েট প্রযোজ্য হবে যদি একটি শিপমেন্টে কোন পণ্যের ওজন নির্দিষ্ট ওজন ঘনত্বের চেয়ে কম হয়। ডাইমেনশনাল ওয়েট পদ্বতিতে কোন পণ্যের চার্জের জন্যে ধার্যকৃত ওজন, পন্যের প্রকৃত ওজনের চেয়ে বেশী হতে পারে। ভলিউমেট্রিক ওয়েট= উচ্চতা (সেমি) * দৈর্ঘ্য (সেমি) * প্রস্থ (সেমি)/ ৬০০০। উদাহারন, যদি কোন বক্সের আয়তন ৪০*৩০*৭০ সেমি হয় তবে ঐ বক্সের ডাইমেনশনাল ওজন হবে ১৪ কেজি যদি বক্সটির প্রকৃত ওজ়ন ২১ কেজি হয় তবে বক্সটির চার্জযোগ্য ওজন ও ২১ কেজি কেননা, ২১ কেজি ১৪ কেজির চেয়ে বড় সংখ্যা। যদি বক্সটির প্রকৃত ওজন ৬ কেজি হত, তবে চার্জযোগ্য ওজন হত ১৪ কেজি , কারণ ৬ কেজি নূন্যতম ওজন ১৪ কেজি এর চেয়ে কম। আয়তনগত ওজন পদ্বতি মূলত সে সকল পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, যাদের ওজন তুলানামূলক কম, কিন্ত বক্সের আয়তনের করনে অধিক জায়গা দখল করে, যেমন, কম্বল, তুলা, একুস্টিক গীটার, বাইসাইকেলের কার্ডবোর্ড বক্স ইত্যাদি। উল্লেখ্য যে, ছোট এবং হালকা প্রকৃতির পণ্যের ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ গন্তব্যেই সাধারণত সমুদ্রপথে শিপমেন্ট এর চেয়ে আকাশপথে শিপমেন্ট অধিক সাশ্রয়ী। তাই আপনি যদি এ ধরনের কোন পণ্য স্বল্প পরিমানে শিপমেন্ট করতে চান, সেক্ষেত্রে এয়ার শিপমেন্টই আপনার জন্যে অধিক লাভজনক।

সমুদ্রপথে বাংলাদেশে শিপমেন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য চার্জসমূহঃ

জাপান হতে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সমুদ্র পরিবহন

বাংলাদেশে সমুদ্রপথে শিপমেন্ট সেবা চট্টগ্রাম বন্দরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিস্তারিত শিপমেন্ট দরপত্র পেতে দয়া করে আমাদের কাছে ইনকোয়ারি পাঠান।

এয়ার শিপমেন্ট এর মতো সমুদ্রপথেও আমরা ব্যাক্তিগত ও বাণিজ্যিক কার্গো উভয় ধরনের গ্রাহকদের সেবা দিয়ে থাকি। অনলাইন স্টোর, দোকান বা কোন কোম্পানী থেকে ক্রয় করা পন্য আপনার কাছে পৌছে দিতেও আপনি আমাদের সেবা নিতে পারেন । জাপান থেকে আন্তর্জাতিক পরিবহন ও শিপিং এর বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমরা আপনার সব ধরনের জিজ্ঞাসার জবাব রয়েছে আমাদের কাছে। জাপান থেকে বাংলাদেশে আপনার পন্য পরিবহন যথটা সম্ভব নির্বিঘ্ন ও সহজতর করতে আমাদের অনন্য সেবা নিয়ে আমরা সদা প্রস্তুত।

জাপান হতে বাংলাদেশে আপনার ব্যাক্তিগত ও বাণিজ্যিক পণ্যের কার্গো পরিবহনে আমরা কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে তার বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

জাপান লাগেজ এক্সপ্রেস

(জাপান ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শিপিং কোম্পানী)
কল করুনঃ ০১২০-৪৮-০০৮১ (টোল ফ্রি )
জাপানের বাইরে হতে +৮১-৪৭১-৪৮-০০৮১

আমাদের কথা